কোনো কিছুই অনুসরণীয় না। অনুসারী তার আদর্শের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করে। ভিন্ন আদর্শগুলোর ভালো দিককে নাকচ করে আর সাংঘর্ষিক মতামতকে দমিয়ে দেয়। মানুষ যখন তার সাফল্যে ডুবে থাকে তখন সে কেবলই ব্যর্থতার গর্তেই ডুবতে থাকে। কোনো বিজয়ই চিরস্থায়ী নয় তেমনি কোনো সংগ্রামই সাময়িক নয়। ভুল পথে না যাওয়াও একরকম সঠিক পথেই যাওয়া- যদিও এটাকে অতটা গ্লোরিফাই করা হয়না। সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলোই শুধু আমাদের বাঁচিয়ে রাখে না, গোপনে থাকা অনেক শিরা-উপশিরা আমাদের প্রতিনিয়ত সচল রাখছে। কিন্তু আমরা তাদের চিনি না, জানি না। আর এই অচেনা থাকতে পারাতেই তারা এখনও ঠিক আছে, পচে নাই গ্ল্যামোর আর পাব্লিসিটির অভিশাপে।
ইতিহাসের একটা অকাট্য নিয়ম হলো রক্ষক ভক্ষকে পরিণত হয়। এটা হবেই, এ প্রজন্মে না হোক, তার পরের কিংবা তারও পরের। এমনটা রাতারাতি হয় না। আপনার নেতার সাথে দুইবার সম্মত হওয়ার পরে তৃতীয়বারে যখন অসস্মতি দিতে চেয়েও সম্মতি দিয়ে দেন, তখনই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাই আওয়াজ উঠাতে হবে আপনার দ্বিমতের। আপনি ভুল হতেই পারেন। ভুল করাতে কোনো দোষ নেই, ভুলকে আকড়ে ধরে বসে থাকাটা দোষের। আর কেউ যদি আপনার কথা না শোনে বা শাস্তিও দেয়- অন্তত এতটুকু আপনার জানা থাকবে যে আপনি সঠিক কাজটা করেছেন। নিজের কাছে জবাবদিহিতাই সবচেয়ে কঠিন আর আসল জবাবদিহিতা।
“Whoever fights monsters should see to it that in the process he does not become a monster. And if you gaze long enough into an abyss, the abyss will gaze back into you.” - Friedrich Nietzsche
- মি. আহমেদ
১৪.৮.২০২৪
👏👏👏👏👏
ReplyDelete